এক: ইহরাম ১/ পরিপূর্ণভাবে গোসল করা ২/ সুগন্ধি ব্যবহার করা ( চুলে ও দাড়িতে) ৩/ ইহরামের কাপড় পরিধান করা ৪/ ২ রাকাত তাহিয়্যাতুল ওজুর সলাত আদায় করা ৫/ স্যান্ডেল পরা ৬/ মীকাতে পোঁছানোর পর কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করা। মুখে উচ্চারন করে বলা: আল্লাহুম্মা লাব্বাইক উমরাহতান ৭/ জোরে জোরে তালবিয়্যা পাঠ করা ৮/ মাসজিদুল হারামে প্রবেশের আগ পর্যন্ত তালবিয়্যা পাঠ করা ৯/ হারাম শরীফে প্রবেশের আগে গোসল করা
দুই: তাওয়াফ ১/ মাসজিদুল হারামে ডান পা দিয়ে প্রবেশ করা ২/ ডান কাঁধ খোলা রাখা ও কালো পাথরের কাছাকাছি থেকে তাওয়াফ শুরু করা ৩/ কালো পাথর স্পর্শ করা (বিসমিল্লাহ আল্লাহ আকবর বলে, শুধু প্রথম চক্করের শুরুতে; পরের চক্কর গুলিতে শুধু আল্লাহ আকবর বলা) ও হাতে চুমু খাওয়া ৪/ কালো পাথরে স্পর্শ করতে না পারলে পাথরের দিকে মুখ ফিরে আল্লাহ আকবার পড়ে হাত দিয়ে ইশারা করা (সেক্ষেত্রে চুমু খাওয়া যাবে না) ৫/ বাম দিকে কাবাঘর রেখে ডান দিক দিয়ে তাওয়াফ শুরু করা ৬/ ইয়েমানী কর্নারে পোঁছে ডান হাত দিয়ে স্পর্শ করে "বিসমিল্লাহ আল্লাহ আকবর" পড়া (হাতে চুমু খাওয়া যাবে না)। স্পর্শ করতে না পারলে তাওয়াফ চালিয়ে যাওয়া এবং বিসমিল্লাহ আল্লাহ আকবর না পড়া ৭/ ইয়েমানী কর্নার ও কালো পাথরের মাঝামাঝি এসে এই দুয়া পড়া: "রব্বানা আতিনা ফিদ্দুনইয়া হাসানাতা ওয়া ফিল আখিরতি হাসানাতা ওয়া কিন্না আজাবান্নার" ৮/ প্রতিবার কালো পাথর অতিক্রম করার সময় - "আল্লাহ আকবার" পড়া ৯/ তাওয়াফকালীন সময়ে যিকর, দুয়া বা কুর'আন থেকে তিলাওয়াত করা ১০/ তাওয়াফ কালীন সময়ে পুরুষের ২ টি কাজ: (ক) শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ডান কাঁধ খোলা রাখা। (খ) প্রথম ৩ চক্করে দ্রুত হাঁটা (ছোট ছোট পায়ে) শেষ ৪ চক্করে - স্বাভাবিকভাবে হাঁটা ১১/ তাওয়াফ শেষ হলে ডান কাঁধ ঢেকে মাকামে ইব্রাহীমে কুর'আন থেকে নীচের আয়াত পড়া: ‘ওয়াত্তাখিজু মিম মাকামি ইব্রাহীমা মুছাল্লা’ (২:১২৫) ১২/ মাকামে ইব্রাহীম এর পিছনে ২ রাকাত সলাত আদায় করা: (ক) ১ম রাকাতে সুরা ফাতিহা ও সুরা কাফিরুন পড়া (খ) ২য় রাকাতে সুরা ফাতিহা ও সুরা ইখলাস পড়া ১৩/ সলাত শেষ করে কালো পাথরের নিকট যাওয়া এবং পারলে তা স্পর্শ করা। এখানে শুধু স্পর্শ করার নিয়ম, না পারলে চলে যাওয়া (ইশারা করার প্রয়োজন নাই) ১৪/ জম জম পানি পান করা
তিন: সা'য়ী ১/ মাস'আ তে আগমন করে, সাফা পাহাড়ের কাছে এসে কুর'আনের এই আয়াত পড়া: ইন্নাস সাফা ওয়াল মারওয়াতা মিং শা'আয়িরিল্লাহি (২:১৫৮) ২/ তারপর নিচের দু'য়া পড়া: "নাবদা'উ বিমা বাদা'আ আল্লাহ বিহি" (আমরা সেটা দিয়েই শুরু করলাম যা দিয়ে আল্লাহ শুরু করেছেন) ৩/ এরপর সাফা পাহাড়ে উঠা যতক্ষন না কাবা দেখা যায় ৪/ কাবার দিকে মুখ করে আল্লাহর প্রশংসা করা ও ইচ্ছামত দু'আ করা। "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াদাহু লা শারীকালাহু, লাহুল মুলক ওয়া লাহুল 'হামদ, ইয়হুয়ী ওয়া ইউমীতু ওয়া হুয়াল 'আলা কুল্লি শায়য়্যিন কদীর। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াদাহ আনজাযা ওয়াদাহ ওয়া নাসারা 'আবদাহু, ওয়া হাজামাল আহযাবা ওয়াদাহু" (৩ বার) মধ্যবর্তী সময়ে হাত তুলে অন্যান্য দু'আ করা। ৩য় বার পড়া শেষ করে নেমে মারওয়া এর উদ্দ্যেশে যাত্রা করা (৩য় বার শেষ করে দু'আ না করা) ৫/ ১ম সবুজ দাগের কাছাকাছি এসে যত সম্ভব দ্রুত দোঁড়ানো ৬/ ২য় সবুজ দাগের কাছে পোছে স্বাভাবিকভাবে হেটে চলা যতক্ষন না মারওয়া তে পোঁছে। ৭/ মারওয়াতে এসে নীচের দু'আ করা (৩ বার):
এবং মার ওয়া থেকে অবতরণ করা। ৮/ এই ভাবে ৭ বার (সাফা থেকে মারওয়া ৪ বার, মারওয়া থেকে সাফা ৩ বার) চক্কর দেওয়া ৯/ মনে রাখতে হবে: হাঁটার যায়গাতে হাঁটা আর দোঁড়ানোর যায়গাতে দোঁড়ানো সুন্নাহ।
চার: মাথা মুন্ডন ১/ সাঈ করা শেষ হলে - ছেলেদের: মাথা মুন্ডন করা বা ছোট করা বা সমান ভাবে ছেঁটে ফেলা তবে পুরা মাথা মুন্ডন করা উত্তম মেয়েদের: ১ ইঞ্চি বা এর কম পরিমাণ চুলের আগা কেটে ফেলা
মীকাত আর হারাম এর সীমানার মধ্যবর্তী জায়গাকে আরবীতে হিল বলা হয়। জেদ্দা, খুলাইস, এবং আল-যানুন হিল এলাকার মধ্যে অবস্থিত। যে সমস্ত হাজীগণ এই হিল এলাকায় থাকেন কিংবা হিল এলাকা অতিক্রম করছেন, তাহলে সেক্ষেত্রে হারাম সীমানা অতিক্রম করার আগেই ইহরাম অবস্থায় প্রবেশ করতে হবে।
"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াদাহু লা শারীকালাহু, লাহুল মুলক ওয়া লাহুল 'হামদ, ইয়হুয়ী ওয়া ইউমীতু ওয়া হুয়াল 'আলা কুল্লি শায়য়্যিন কদীর। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াদাহ আনজাযা ওয়াদাহ ওয়া নাসারা 'আবদাহু, ওয়া হাজামাল আহযাবা ওয়াদাহু"